যে ১০টি কারণে ‘পাশ্চাত্যের কালিমা’ বইটি আপনার পড়া উচিৎ।
১। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সামাজিক বিজ্ঞান নিয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা গুরুত্ব
সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আইন-কানুন প্রণয়নের দিক বিবেচনায় সামাজিক বিজ্ঞান যতটা না বিজ্ঞান, তার চেয়েও বেশি ধর্ম। গত ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ধর্ম গড়ে উঠেছে পাশ্চাত্য সভ্যতায় ছত্রছায়ায়, যেটি প্রকৃত ও স্বর্গীয় ধর্মের প্রভাবমুক্ত। এমন ধর্মের সমাজ কাঠামোর বিপরীতে যদি ইসলামী সমাজের কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা না যায়, ইসলামপ্রিয় জনগণকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও ঐ সমাজের অধীনে জীবনযাপন করতে হবে।
২। মানবজাতির প্রতি পাশ্চাত্য আদর্শের হুমকি ও ডার্কসাইড
কিন্তু পাশ্চাত্যের ধর্মহীন আদর্শগুলোর (লিবারেলিজম ও হিউম্যানিজম) অধীনে জীবন পরিচালনা আদতে আমাদের জন্য কতটা শান্তি আর সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে? অর্থ আয়ের জন্য যে দেশগুলোতে স্থানান্তর হওয়া বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের, এমনকি মুসলিমদেরও প্রধানতম টার্গেট থাকে, সে দেশের মানুষগুলো তাদের উপার্জিত অর্থের বিনিময়ে কতটা সুখ কিনতে পারছে? নাকি ওসব আদর্শ তাদের জীবনকে বিপদাপন্ন করছে আর বেঁচে থাকার ইচ্ছে কেড়ে নিচ্ছে?
৩। পাশ্চাত্য সভ্যতার মুনাফিকী ও ব্যর্থতা
আর পাশ্চাত্য সভ্যতার ধারক-বাহকরাই বা তাদের প্রচারিত মতাদর্শগুলো কতটা মেনে চলে? খেয়াল করলে দেখা যাবে, গ্লোবাল এলিট পরিবারের (রথসচাইল্ড, রকেফেলার) লোকেরা অন্য পরিবারের লোকদের সাথে খুব কমই সংসার পাতে। অথচ তারাই এখন ভিন্ন জাতি, ধর্ম ও বর্ণের লোকদের প্রতি সহিষ্ণু ও লিবারাল হতে আহবান জানায়। আবার, একইসাথে তাদের ধর্মীয় গোড়ামীর কারণে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় রক্তারক্তি থামছে না।
৪। প্রযুক্তি-আসক্তির মাধ্যমে পাশ্চাত্যের সীমালঙ্ঘন ও বিপদগামিতা
মানব ইতিহাসে ইতিহাসে যখনই নতুন কোন প্রযুক্তির আবিষ্কার হয়েছে, তখন মানুষ সেটাকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবন সহজ ও আরামপ্রদ করেছে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে ইতিহাসের প্রথমবারের মত মানুষ এমন কিছু প্রযুক্তি আবিষ্কার ও সেগুলোর উত্তরোত্তর উন্নতি সাধন করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে তার নিজের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে। যদি অস্তিত্ব বিলীয়মান না হওয়ার মত সৌভাগ্যবান সে হয়েও থাকে, নিজের মধ্যকার প্রাকৃতিক মানবীয় গুণাবলী হারিয়ে বসা থেকে তার কোন নিস্তার নেই।
৫। ইসলাম ধর্মের অচল পণ্যে পরিণত হওয়ার ভুল ধারণা
নৃতাত্ত্বিক থেকে শুরু করে জেনেটিক্যালি চিন্তা করতে গেলেও ধর্ম মানুষের জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দখলদার। কিন্তু ১০০ বছর ধরে ধর্মকে এটা-ওটা দিয়ে প্রতিস্থাপিত করতে পাশ্চাত্যের নিরন্তর কিন্তু ব্যর্থ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। একটা আদর্শও ধর্মের ন্যায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করার মত যোগ্য প্রমাণিত হয়নি। ইসলাম যেমন মানবজীবনের সকল বিষয়ে সবসময় নিজের মতামত জানাতে পারবে, তেমনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা ও ব্যবহারেও নিজের অবস্থান পরিষ্কার ব্যক্ত করতে পারবে।
৬। নৈতিকতার সাথে পাশ্চাত্য আদর্শের সাংঘর্ষিক ও বিভ্রান্তিকর অবস্থান
হিউম্যানিজম থেকে শুরু করে লিবারেলিজমের মত আদর্শগুলো কি আমাদেরকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারে? না; অসম্ভব বললেও অত্যুক্তি হবে না। এসবের সাথে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের ধারণা বিবেচনা করলে সেকিউলার রাষ্ট্রের লিবারাল আদালত খুন, হত্যা, ধর্ষণসহ প্রায় সকল অপরাধের জন্য আমাদেরকে বেকসুর খালাস ছাড়া অন্য কোন রায় দিতে পারে না।
৭। ধর্মের পরিবর্তে বিজ্ঞানের উপর বিশ্বাস স্থাপনের ইতিহাস
ধর্ম কীভাবে মানুষের বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে বসে? শুরুটা কীভাবে হয়েছিল? আর শেষে এর ফলাফল কী দাঁড়িয়েছিল? এর জন্য কে দায়ি ছিল? ধর্ম নাকি এক শ্রেণির মানুষের ধর্মান্ধতা? আর বিশ্বাসের এমন ট্রান্সফরমেশন শেষ পর্যন্ত মানুষের জন্য কেমন পরিণাম বয়ে আনলো?
৮। ইউরোপে এনলাইটেনমেন্টের সফল বাস্তবায়ন ও ইসলামী দুনিয়ায় এটি ব্যর্থ হওয়ার কারণ
ইউরোপে এনলাইটেনমেন্ট ছিল এতই সফল ও সাবলীল প্রক্রিয়া ছিল যে, এটাকে প্রাকৃতিক ও অনিবার্য ঘটনা বলে মনে হয়। কিন্তু ইসলামী দুনিয়ায় এই আদর্শগুলোর বাস্তবায়ন রক্তপাত বয়ে আনে। অথচ ইউরোপে সেকিউলারিজম প্রতিষ্ঠা করতে কাউকে জীবন দিতে হয়নি। কেন? প্রকৃতির আইন কি দুই জায়গায় দুইরকম ছিল? নাকি অন্য কিছু?
৯। পশ্চিমা বিশ্বের বিপর্যয় ও দৈন্যদশা
আমাদের কি আসলেই ডেনমার্ক যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত? যদিওবা পরিবেশটা সুন্দর এবং কোন হৈচৈ নেই, ভেতরকার অবস্থা খুবই বিশ্রী। কর্কশ বাংলায় বললে; বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট। কিন্তু হৈচৈ থাকে না দুইটা অবস্থায়ঃ যদি কোথাও কোন মানুষ না থাকে; আর মানুষ থাকা সত্ত্বেও যদি তাদের কাছে জীবন বিস্বাদময় হয়ে উঠে। ডেনমার্কের মতো পশ্চিমা দেশগুলো কোন অবস্থায় আছে?
১০। বিবর্তনবাদীদের জন্য বিব্রতকর বাস্তবতা
বিবর্তনবাদের ধারণা আমরা ডারউইন থেকে পেয়েছিলাম? কিন্তু ডারউইন কোত্থেকে এই ধারণা পেয়েছিল? বিবর্তনের ধারণার ভিত্তি কতটাই বা বৈজ্ঞানিক? নাকি এর জন্য বিবর্তনবাদীদের এমনসব অনতিক্রম্য বাস্তবতার মুখোমুখি হয় যা বিব্রতকর?
বইটি প্রকাশিত হবে ০৩.১১.২০২২। প্রি-অর্ডার করতে ক্লিক করুন