আপনি কি নিজের লেখার মান উন্নয়ন করতে চান?
অত্যন্ত সাধারণ, তবে কার্যকরী কিছু অভ্যাস আয়ত্ত করার মাধ্যমে আপনি আপনার লেখাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারবেন, লেখালেখির শিল্পকে পরিণত করতে পারবেন দক্ষতায়। যার জন্য কেবল প্রয়োজন সংকল্প আর আত্মশাসন।
বইটিতে প্রদত্ত ১০টি উপায়ের সবকটি আপনার লেখালেখির দক্ষতা বাড়াবে এবং নৈপুণ্যতাকে আরও পরিপূর্ণ করে তুলবে। বইটিতে বেশকিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তির পাশাপাশি ভাবনা ও আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্ন ও কার্যাবলী দেওয়া আছে।
“লেখা ভালো করার ১০টি উপায়” বইটি যেকোনো রাইটিং গ্রুপ, ক্লাস ও ওয়ার্কশপে ব্যবহারযোগ্য। এছাড়াও, যেসকল লেখক ব্যক্তিগতভাবে নিজের লেখাকে নিয়ে যেতে চান আরেকধাপ উঁচুতে, তাদের জন্যও বইটি আদর্শস্বরূপ।
আপনার লেখাকে সমৃদ্ধ করে তোলার যাত্রা শুরু করুন আজ থেকেই।
ফাতিমা মৌ ফ্লাভিকা –
একজন লেখকের আয়নার নিজেকে দেখতে চাইলে বইটি আপনার জন্য গাইডলাইন। নীল মলাটের চকচকে বইটিতে লেখা ভালো করার চমৎকার ১০ টি কৌশল পাবেন।
বইটি অসাধারণ।
Kulsuma Mily –
রিভিউ
প্রতিটি মানুষ কিছু না কিছু গুণে গুণান্বিত হয়ে থাকে। কেউ ভালো কবিতা লিখে কেউ বা গল্প উপন্যাস। একজনের লেখকের লেখার পাশাপাশি প্রয়োজন হয় অনুপ্রেরণার। তাদের এই লেখার অভ্যাসের মান উন্নত করতে, অনুপ্রেরণা জোগাতে, নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি করার ধারণা সৃষ্টি করতে প্রজন্ম পাবলিকেশন উপস্থাপন করেছে একটি ভিন্ন ধাঁচের বই ” লেখা ভালো করার ১০টি উপায় “।
বইটির বিষয়বস্তু.
———————-
বইটির ১৬০ পৃষ্টায় দশ ধাপে সজ্জিত হয়েছে। বই পড়া, লেখা, রিভিশন, ব্যাকরণ, দক্ষতা, প্রক্রিয়া, মন্তব্য, সরঞ্জাম ও রিসোর্স ম্যাটেরিয়াল, সৃজনশীলতা ও অনুপ্রেরণা, সম্প্রদায়, প্রকাশনা শিল্প ও পাঠক ইত্যাদি। নিম্নে সংক্ষেপে কয়েকটি তুলে ধরা হলো-
বই পড়া- একজন লেখক হয়ে উঠতে হলে প্রথমেই প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যার কাছে বই পড়ার সময় নেই সে কখনো ভালো লেখক হতে পারেনা। একজন লেখক কে লেখার ব্যক্তিগত স্বরুপ উদঘাটনের জন্য সব ধরনের বই পড়ে দেখতে হবে। জ্ঞান এবং অনুপ্রেরণার জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
লেখা- যদি আপনি লেখক হতে চান, লিখুন। এটা চিরন্তন সত্য কথা। বেশি বেশি লেখা চর্চার মাধ্যমে লেখার মান উন্নত হয়। চর্চাই একজন অপেশাদারকে পেশাদার করে তোলে। লেখার জন্য নির্দিষ্ট সময় তৈরি করা। সব সময় সাথে একটা নোট বা ডায়েরি রাখা। প্রাকৃতিক ও সৃজনশীল উপায় পেলেই নোট করে রাখা।
রিভিউশন- সব থেকে সেরা লেখা হচ্ছে পুনরায় লেখা। বার বার পড়ার মাধ্যমে লেখায় নতুনত্ব আসে, নতুন নতুন আইডিয়া আসে, প্রাথমিক ধাপে কিছু শব্দ দিয়ে লেখা হলেও পরবর্তীতে এগুলোর শব্দ চয়নে নতুনত্ব আনা। বার বার পড়া, সংশোধন করা দৃশ্যের ধারাবাহিকতা, চরিত্রে নাম, প্লট পুননির্মাণ করা ইত্যাদি।
দক্ষতা- কেউ জন্ম থেকে পড়তে বা লিখতে পারেনা। সবাইকে সবার নিজের মেধাশক্তি দিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হয়। দক্ষতা অর্জনের জন্য নিয়মিত লেখা এবং শব্দভাণ্ডার বিস্তৃত করা গুরুত্বপূর্ণ । শব্দচয়ন, শব্দভাণ্ডার, বাক্যগঠন, প্যারাগ্রাফ, অভিধান ইত্যাদি বিষয় গুলোতে পারদর্শী হওয়া প্রয়োজন।
এরকম আরও কয়েকটি ধাপ দিয়ে অনবদ্য একটি সাজেশন হবে বইটি। একজন পাঠক পড়ার পাশাপাশি পাবে লেখক হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা।
বইটি পড়ার প্রয়োজনীয়তা-
————————————-
ছোটখাটো লেখা থেকে নিজের লেখা মান উন্নত ও সমৃদ্ধি করতে, লেখালেখির শিল্পকে পরিণত করতে, শব্দচয়ন, শব্দভাণ্ডার বিস্তৃত করতে, নির্ভুলতম মানসম্মত লেখার জন্য, নিজের লেখার মানকে আরেকধাপ উঁচুতে নিয়ে যেতে, লেখালেখির জন্য অনুপ্রেরণা অর্জন করতে বইটি মূখ্য ভূমিকা পালন করবে। বইটিতে ১০টি এমন সব অসাধারণ ও চমৎকার বিষয় গুলো তুলে ধরা হয়েছে যা আপনার লেখালেখির দক্ষতা বাড়াবে এবং নৈপুণ্যতাকে আরও পরিপূর্ণ করে তুলবে।
আলোচনা-সমালোচনা.
——————————-
প্রজন্ম প্রকাশনী মানে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের ভিন্ন স্বাদের চমক। ” লেখা ভালো করার ১০টি উপায় ” এটিও অসাধারণ একটি চমক। মনে হয় এরকম একটি বই এই প্রথম পাঠক এবং লেখকের সামনে উপস্থাপন হয়েছে। কম বেশি সবাই ই লেখার সাথে যুক্ত তাই এই ধরনের বই নতুন লেখকদের জন্য অত্যন্ত জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। সমালোচনা করার মত বই’ই নয় এটি। তবে কিছু কিছু টাইপে ভুল হয়েছে কিন্তু সেটার জন্য না বুঝার মত তেমন গুরুতর নয়।
বইটি লেখা সমৃদ্ধ করার পাথেয় হোক প্রতিটি লেখকের।
বই: লেখা ভালো করার ১০ টি উপায়
লেখক: মেলিসা ডোনোভান
রুপান্তর: জহিরুল হক অপি
প্রকাশনী: প্রজন্ম পাবলিকেশন
প্রচ্ছদ মূল্য: ৩০০/-